নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের নির্ধারিত সময় সীমা উত্তির্ন হলেও এখনো কাজ অসমাপ্ত রয়েছে প্রায় ৭০ ভাগ। ঠিকাদারের অবহেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এ ভবন নির্মাণের জন্য ৬ কোটি ৩৯ লাখ ৯১ হাজার ১৩৮ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যাদেশ দেয়া হয়। ভবন নির্মাণের দায়িত্বপান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নুর সিন্ডিকেট। ওই প্রতিষ্ঠান টি কাজ সম্পন্ন করতে না পারলেও ইতিমধ্যে চার দফায় বিল উত্তোলন করে নিয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা। অথচ কাজ সম্পন্ন করার সময় সীমা ছিল ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর।
কাজের তদারকির দায়েত্বে নিয়োজিত চকরিয়া এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিরাজুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে জানান, এ নতুন ভবনটিতে সরকারের ১৮টি দপ্তরের অফিস কার্যক্রম চলবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলজিইডির চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল চকরিয়া নিউজকে বলেন, নতুন উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ কাজটি আমি চকরিয়া স্টেশনে আসার আগে টেন্ডার হয়েছে। নানা জটিলতার কারণে সঠিক সময়ে ঠিকাদারকে আমরা কাজের কার্যাদেশ দিতে পারিনি। সেই কারণে একটু কাজের ধীরগতি হয়েছে। তবে এখানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের যতেষ্ট গাফেলতি আছে বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: